ডাক্তার বলছেন রোগী বাচবেন ৭/৮দিন। অথচ ; কোয়ারেন্টাইনের বিষয়টি অমানবিক
বলে অভিযোগ করেছেন বরিশাল জেলার ভারত ফেরত অসুস্থ কাঁলাচাদ মধুর স্ত্রী
অঞ্জনা মধু। ভারতে ৫ মাস চিকিৎসা শেষে বেনাপোল দিয়ে ফেরত আসা ওই রোগির
পেটে ও প্রস্রাবের লঅইনে নল লাগানো।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় মূমুর্ষ রোগীকে একটি হুইল চেয়ারে বসা থাকতে দেখা
যায় বেনাপোল ইমিগ্রেশনে। পাশে বসা স্ত্রী অঞ্জনা মধুর দুচোখে ঝরছে অঝোরে
পানি। এগিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলে হাউ মাউ করে কেঁদে ফেলে ওই নারী। তিনি
বলেন আমার স্বামীকে ভারতীয় ডাক্তার বলেছে বাঁচবে না। বাড়ি নিয়ে যান। ৫
মাস পর দেশে ফিরছি। হাতের অবস্থাও ভালো নেই। এখন ১৪ দিন থাকতে হবে
কোয়ারেন্টাইনে। আমি কি ভাবে তাকে নিয়ে ১৪ দিন থাকব। ছেলে মেয়েরা তার
বাবার জীবিত দেখতে পারবে না। আমি এখানকার ডাক্তারদের রোগীর অবস্থা দেখতে
বললেও তারা কোন কথা শুনছে না। তারা বলছে আপনাকে থাকতে হবে যে কোন হোটেলে
অথবা হাসপাতালে। আমি বললাম আমার বাড়ির পাশে আগৈল ঝরা হাসপাতাল আছে
সেখানে দিন । কিন্ত আমার কোন কথা কর্নপাত করছেন না কেউই। আমি উপায় খুজে
পাচ্ছি না। ওপার থেকে তারা করোনা নেগেটিভ সনদও নিয়ে এসেছি। তারপর কেন এত
যন্ত্রনা দেয়া হচ্ছে বলে হাউমাউ করে কেদে ফেলেন মধু। পাশেই নিথর হয়ে
স্ত্রীর দিকে চেয়ে আছেন অসুস্থ্ স্বামী।
এ বিষয়ে বেনাপোল ইমিগ্রেশনের এস আই মফিজুর রহমান বলেন আমাদের কিছু করার
নেই। আমাদের দায়িত্ব ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করা। এরপর কে কোথায়
থাকবে তা দেখ ভার করছে ডাক্তার ও উপজেলা প্রশাসন।
এদিকে বেনাপোল ইমিগ্রেশনে দায়িত্বরত মেডিকেল টিমের সদস্য মামুন হোসেন
বলেন, তাদেরও কিছু করার নাই। তাকে হাসপাতাল অথবা হোটেলে ১৪ দিন
কোয়ারেন্টাইনে থাকতেই হবে।
এবিষয়ে উপস্থিত সকলেই জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। একই সাথে
মানবিক বিষয় বিবেচনা করে বাড়ি যাওয়া অনুমতি যেন পান সেই কামনা করেন
সবাই।